জবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর মোঃ আবদুল হালিম (অবঃ) – এর মৃত্যুতে রবিবার (২৫ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজকর্ম বিভাগ একটি ভার্চুয়াল শোকসভার আয়োজন করেছে।
এতে যোগদান করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রফেসর এএসএম নুরুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন, রাবি-র সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফখরুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. শর্মিষ্ঠা রায়, প্রফেসর মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রবিউল ইসলাম এবং মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম। শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন, প্রফেসর ড. তুলসী কুমার দাস, প্রফেসর আমিনা পারভীন, প্রফেসর মোঃ মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান এবং মোঃ ফখরুল আলম। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জনাব মোঃ আউয়াল কবীর জয়, প্রভাষক মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম এবং জনাব সুব্রত কুমার বিশ্বাস এতে অংশগ্রহন করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তফা হাসান, প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, জনাব মোস্তাফিজ আহমেদ, জনাব বুশরা জামান, জনাব পার্থ সারথী মোহন্ত এবং জনাব মুহাঃ শহীদুল হক ছাড়াও সমাজকর্ম বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ, জবি-র সাংবাদিকবৃন্দ এবং এনজিও কর্মকর্তা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সকলেই মরহুম প্রফেসর মোঃ আবদুল হালিম-এর সততা, নিষ্ঠা, কর্তব্যপরায়নতা, অতিথিপরায়নতা, অমায়িক ব্যবহার, দল-মতের উর্দ্ধে থেকে সহকর্মীদের প্রতি ভালবাসা এবং বিপদে-আপদে সাহায্য করার ব্যাতিক্রমী বৈশিষ্টের প্রশংসা করেন। শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে তিনি বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন। তিনি ছিলেন প্রচার বিমুখ এবং নিরহংকার একজন অসামান্য ব্যাক্তিত্ব। সভায় প্রত্যেকেই অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রফেসরবৃন্দের এবং বর্তমানে যারা অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের খোঁজখবর নেয়াসহ যথাসম্ভব দায়িত্ব পালনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন। প্রফেসর মোঃ আবদুল হালিম-এর প্রকাশনাসমূহ সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ভার্চুয়াল শোকসভাটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাজিনা সুলতানা। তিনি বলেন, “সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্মের শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। হালিম স্যার বেঁচে থাকতে এমন একটি ভার্চুয়াল আড্ডার ব্যবস্থা করলে স্যার অনেক আনন্দ পেতেন। এখন থেকে আমরা শুধুমাত্র কোন দুঃসংবাদের পরই নয়, সমাজকর্মের কারো বিশেষ অর্জনে অভিনন্দন জানাতেও বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের আয়োজন করতে পারি।”